জেমস শিয়ার্সThinkingAnalytics-এ অ্যাডভারটাইজিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়ম গ্রহণ করেছেন, যেখানে তিনি কোম্পানির AI-চালিত বিজ্ঞাপন সমাধানের গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজি এবং বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নিয়োগটি ThinkAnalytics-এর প্রতিযোগীতামূলক বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। টেলিভিশন, স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং ডেটা-নির্ভর বিজ্ঞাপনে ২০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা থাকার কারণে, শিয়ার্স মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপের পরিবর্তনশীল পরিসর এবং মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞাপনের গতিশীলতা বোঝেন। তার পূর্ববর্তী ভূমিকাগুলি প্রকাশ না হলেও, তার বিশেষজ্ঞতা সরাসরি ThinkAnalytics-এর কৌশলগত লক্ষ্যগুলি সমর্থন করে। ThinkAnalytics, তার উদ্ভাবনী AI-চালিত বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির জন্য পরিচিত, শিয়ার্সের নেতৃত্বে বৃহৎ সুবিধা পেতে চলেছে যখন শিল্পটি ব্যক্তিগতকৃত, ডেটা-কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। AI এর দক্ষতা উন্নত টার্গেটিং, সম্পৃক্ততা এবং ক্যাম্পেইন মাপজোখ সক্ষম করে—যা বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ThinkAnalytics-এ চেয়ারম্যান এবং সহ-প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন, তিনি এমন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেন যাতে সংস্থার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যেমন করে মিডিয়া ও বিজ্ঞাপন প্রথম-পার্টি ডেটার ব্যবহার এবং শক্তিশালী গোপনীয়তার মানদণ্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ThinkAnalytics AI-ভিত্তিক উদ্ভাবন দিয়ে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত, যেখানে শিয়ার্সের দক্ষতা এই পরিবর্তনগুলি পরিচালনা করে এবং উদীয়মান সুযোগগুলি কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। টেলিভিশন, স্ট্রিমিং এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপন একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে একটি গতিশীল পরিবেশ যেখানে ডেটा অ্যানালিটিকস এবং AI প্রযুক্তিগুলিই মূল কৌশল। ThinkAnalytics বিভিন্ন ধরনের ডেটা সংহত করে আরও নির্ভুল দর্শক বিভাজন এবং কার্যকর বিজ্ঞাপন স্থান সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। শিয়ার্সের নিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল বাজারে উপস্থিতি দৃঢ় করবে এবং উন্নত AI বিজ্ঞাপন টুলের গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা বিজ্ঞাপনদাতাদের নতুনত্বমূলক, মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম দর্শক সম্পৃক্ততার জন্য চেষ্টা নির্দেশ করবে, সাথে গোপনীয়তা সংরক্ষণের দিকটিও বিবেচনা করে। বুদ্ধিমান ডেটা ক্লিপস আর মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনকে রূপান্তর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ThinkingAnalytics শিয়ার্সের যোগদানের মাধ্যমে প্রসার, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত পরিবর্তনের এ কোষে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাখার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গির একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখছে। প্রতিযোগিতা বাড়ছে এবং গ্রাহকদের আচরণ পরিবর্তিত হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে শিয়ার্সের মতো কৌশলগত প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ অপরিহার্য হয়ে উঠছে। আগামী মাসগুলিতে, ThinkAnalytics সম্ভবত শিয়ার্সের নেতৃত্বে নতুন উদ্যোগ এবং অংশীদারিত্ব ঘোষণা করবে, যেখানে লক্ষ্য থাকবে তার বৈশ্বিক ক্লায়েন্টবেস সম্প্রসারণ, পণ্য অফারগুলির উন্নতি, এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে AI-এর গভীর সংহত করে তোলা। মোটের ওপর, শিয়ার্সের যোগদান ThinkAnalytics-র উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় নির্দেশ করে, যেখানে তিনি AI-চালিত বিজ্ঞাপনের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন—প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আর গ্রাহকের গোপনীয়তা ও ডেটা নীতিমালা বজায় রেখে। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি অভিজ্ঞ নেতৃত্বের গুরুত্বকে তুলে ধরে যে তাদের আধুনিক বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি গ্রহণ এবং বাজারের প্রবণতা ও নিয়মাবলী অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করে। শিল্প পর্যবেক্ষকরা আগ্রহ নিয়ে দেখবেন কেমন করে শিয়ার্স এবং তার দল সংস্থার গতিশীল বৃদ্ধির পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ক্ষেত্রটি একটি রূপান্তरমূলক পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, যা আমাদের জানাই ঐতিহ্যবাহী অনুসন্ধানের সমাপ্তি সংকেত দেয়। যারা বেশি করে ওয়েবসাইটের তালিকা দেখানো অনুসন্ধান ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি করে থাকেন, তাদের জন্য এই অভিজ্ঞতা অতীতের অভিজ্ঞতা হয়ে যাচ্ছে, এক নতুন AI-চালিত অনুসন্ধান প্যারাডাইম গ্রহণের মাধ্যমে। আগে যেখানে ব্যবহারকারীরা সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান ফলাফল থেকে নির্বাচন করতেন, এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রমশ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীকে ফিডব্যাক দিচ্ছে এবং শিল্পক্ষেত্রে গ্রাহকের আচরণকে প্রভাবিত করছে। রেঙ্ক হারভেস্ট, একটি ডিজিটাল এজেন্সি যা অনলাইন মার্কেটিংয়ে নিমজ্জিত, এর মালিক হিসেবে আমি প্রায়ই ব্যবসায়ী ও ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলি যারা ট্র্যাফিকের জন্য অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে থাকেন। অনেকের জন্য পেইড সার্চ অ্যাডভারটাইজিং মোটামুটি সরল, যদিও অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এখনও জটিল ও দুর্বোধ্য। যে কার্যপ্রণালী দ্বারা অরগানিক র‍্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয়, সেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অ্যালগরিদমের প্রকৃতি প্রায়ই গোপন রাখা হয় এবং শুধু এসইও বিশেষজ্ঞরা এর গভীর বোঝাপড়া রাখেন। সম্প্রতি পর্যন্ত, কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে যে ক্লায়েন্টরা এসইও-সম্পর্কিত মৌলিক ধারণা লাভ করছে, অর্থবহ প্রশ্ন করছে এবং তাদের ডিজিটাল উপস্থিতির পক্ষে কার্যকরভাবে সমর্থন দিচ্ছে। তবে, এই অগ্রগতি বাধাগ্রस्त হতে পারে ও সম্ভবত উল্টো দিকে ফিরে যাওয়ার পথ খোলে AI চালিত অনুসন্ধান পদ্ধতিগুলির কারণে। AI এখন নতুন অনুসন্ধান ইঞ্জিন হিসেবে দৃশ্যমান হচ্ছে, যা অনলাইনে জানার ও সরবরাহের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। অনেক ব্যবহারকারী প্রথমে AI-কে নতুনত্বের জন্য ব্যবহার করেছেন—সঙ্গীত তৈরি বা হাস্যকর ছবি এডিট করার মতো—কিন্তু দ্রুতই AI কার্যকরী কাজে কাজে আসতে শুরু করে, যেমন আইনগত যুক্তি খসড়া বা ডিভাইস প্রোগ্রামিং। এই বৃদ্ধি পাওয়া নির্ভরতা ব্যবহারকারীকে AI সিস্টেমের উপরে আরও বেশি বিশ্বাস স্থাপন করতে শিখিয়ে দিচ্ছে, ছোটখাটো অনুরোধ থেকে বড় সিদ্ধান্ত, যেমন কেনাকাটা পর্যন্ত। এই পরিবর্তনটি ব্যবসা ও ব্র্যান্ডদের জন্য গভীর প্রভাব ফেলছে। AI-তালিকাভুক্ত অনুসন্ধান ফলাফলে দৃশ্যমানতার জন্য প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে উঠবে। প্রাচীন SEO, যা অর্গানিক কীওয়ার্ড র‍্যাঙ্কিংয়ে ভিত্তি করে, এখন এ ধরনের পরিবেশে বদলাতে হবে যেখানে AI তথ্য ছাঁকনি ও সংমিশ্রণ করে, যা ক্লাসিক SEO-র কাছে স্বচ্ছ বা অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের মার্কেটিং কৌশল মানিয়ে নিতে হবে এবং সরাসরি AI প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে হবে যাতে শুভ অবস্থান অর্জন করা যায়। AI এর উদীয়মান মানদণ্ডগুলো প্রাধান্য দেয় যথার্থতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা, যা পূর্বের অ্যালগরিদম থেকে ভিন্ন। AI-চালিত অনুসন্ধানের উত্থান বৃহত্তর ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রকে রূপান্তরিত করবে। বিজ্ঞাপনদাতা, কন্টেন্ট নির্মাতা ও গ্রাহক সম্পৃক্ততার পেশাদাররা এখন নতুন করে ভাবতে হবে যে কিভাবে AI-সংকলিত, কথোপকথনভিত্তিক ও সুপারিশপ্রধান দৃষ্টান্তে মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়। গ্রাহকদের জন্য এটি আরও ব্যক্তিগতকৃত তথ্য প্রবেশের সুযোগ আনবে, তবে পাশাপাশি স্বচ্ছতা, পক্ষপাতিত্ব ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বেগও বাড়াবে। অস্পষ্ট অ্যালগরিদমগুলো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে। সারসংক্ষেপে, পূর্বের অনুসন্ধান ইঞ্জিন—যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের গেটওয়ে এবং ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল মাধ্যম ছিল—এখন AI ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, যা মধ্যস্থতাকারী ও সিদ্ধান্তকারী হিসেবে কাজ করে। এই পরিবর্তন ব্যবসা, মার্কেটার ও গ্রাহকদের নিয়ে আসছে এমন এক ভবিষ্যতের জন্য যেখানে AI-র উপর ভরসা তথ্যপ্রবাহ ও বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা নির্ণয় করবে। অবহিত থাকা ও AI উন্নয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকা আবশ্যক, যেন এই নতুন AI-চালিত অনুসন্ধান যুগে দৃশ্যমানতা ও প্রভাব বজায় রাখা যায়।

র্যাডনর হাই স্কুলের কর্মকর্তাদের ঘোষণা করেছে যে স্কুলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া একটি এআই-উৎপন্ন ভিডিও নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, যা বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অপড়বংশের কার্যকলাপে নিখুঁতভাবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। র্যাডনর হাই স্কুলের প্রধান, জোসেফ ম্যাকনামারা, কর্তৃক অভিভাবকদের জন্য পাঠানো এক চিঠিতে তিনি স্বীকার করেছেন যে স্কুল এই ধরনের একটি এআই-উৎপন্ন ভিডিওর সম্ভাব্য অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন, যা "আমাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে অপয়োজনীয়ভাবে দেখানোর জন্য রিপোর্ট করা হয়েছে।" ম্যাকনামারা পরিস্থিতির গুরুত্বের উপর জোড় দেন, লিখেছেন, "আমরা বুঝতে পারি এই পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক এবং গম্ভীর, এবং আমরা আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই যে আমরা এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণতার সঙ্গে বিবেচনা করছি।" তিনি আরও জানান যে সম্ভাব্য প্রভাবিত শিক্ষার্থীদের সকল পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের জন্য উপলব্ধ সহায়তা সংক্রান্ত संसাধনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। প্রধান বলেছেন যে জেলা র্যাডনর টাউনশিপ পুলিশ বিভাগের সঙ্গে এই বিষয়টি তদন্ত করতে যৌথভাবে কাজ করছে এবং এই ঘটনাটি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। তবে, ম্যাকনামারা ভিডিওটির বিস্তারিত তথ্য দেননি, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী এটি তৈরি করেছে কি না বা এ বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। "আমরা এখনো সব বিশদ জানার প্রক্রিয়ায় আছি, তবে আমাদের মনে হয় আপনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি তথ্যটি পান এবং জানেন যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার," বলেছেন ম্যাকনামারা। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে এই ঘটনাটির তদন্ত এখনও চলমান।

微软 সম্প্রতি তার এআই এজেন্ট পণ্যের বিক্রয় লক্ষ্য পুনঃনির্ধারণ করেছে, কারণ অর্থবছরজুড়ে জুনে শেষ হওয়ার সময় অনেক বিক্রয় কর্মী তাদের কোটা পূরণে সংগ্রাম করেছিলেন, এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে The Information এর মাধ্যমে। এই সমন্বয়টি খুবই ব্যতিক্রমি হচ্ছে Microsoft এর জন্য এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সংকেত দেয়, কারণ প্রতিষ্ঠানটি তার এআই পণ্যগুলির জন্য বেশ কয়েকটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিক্রয় লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল। এআই এজেন্টগুলি বিশেষায়িত এআই ভাষা মডেল অ্যাপ্লিকেশন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জটিল এবং বহুস্তরীয় কাজগুলি সামলাতে ডিজাইন করা, শুধুমাত্র একক প্রম্পটের উত্তরে নয়। এই "এজেন্টিক" বৈশিষ্ট্যগুলি Microsoft এর ২০২৫ বিক্রয় কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। মে মাসে তাদের Build কনফারেন্সে, Microsoft ঘোষণা করে "এআই এজেন্টের যুগ", যেখানে তাদের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে জোর দিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল। Microsoft এই এআই এজেন্টগুলোকে প্রচার করেছে যে তারা জটিল কাজগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম, যেমন বিক্রয় ডেটা থেকে ড্যাশবোর্ড তৈরী বা বিস্তারিত গ্রাহক রিপোর্ট প্রস্তুত। নভেম্বরের Ignite কনফারেন্সে, কোম্পানি এই দর্শনকে আরও বিস্তৃত করে নতুন Word, Excel, এবং PowerPoint এজেন্টগুলো উন্মোচন করে, যা Microsoft 365 Copilot এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড, পাশাপাশি Azure AI Foundry এবং Copilot Studio এর মাধ্যমে এআই এজেন্ট তৈরী ও মো deploy করার টুলসও উপস্থাপন করে। তবুও এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যগুলো পূরণে Microsoft বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল অর্থবছর শেষের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Azure বিক্রয় বিভাগে লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল যে বিক্রেতাদের Foundry—একটি এআই অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে সহায়তা করে—খরচ ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশই তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায়, Microsoft এই বৃদ্ধির হারকে প্রায় ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে এই অর্থবছরের জন্য। অন্য এক US Azure ডিভিশন বেশ আক্রোশপ্রকাশ করে আগের নির্ধারিত দ্বিগুণ বিক্রয় লক্ষ্যের চেয়ে, যার ফলে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির। এসব ফলাফল দেখাচ্ছে যে, এই পর্যায়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো এআই এজেন্ট টুলে বড় বিনিয়োগ বা প্রিমিয়াম দাম দিতে এখনও সঙ্কুচিত, সতর্ক অবস্থানে আছে। Microsoft এর Copilot পণ্যও বাজারের ব্র্যান্ড পছন্দের কারণে সমস্যার মুখোমুখি। আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে Microsoft এর বিক্রয় দলগুলোকে প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের বোঝাতে কষ্ট হয়েছিল যে Copilot ব্যবহার করতে, কারণ অনেক কর্মী OpenAI এর ChatGPT কেও পছন্দ করতেন। উদাহরণস্বরূপ, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি Amgen ২০,০০০ কর্মীর জন্য Copilot লাইসেন্স করলেও, অনেকেই ChatGPT ব্যবহারে আগ্রহী ছিলেন। সেখানে, Copilot মূলত Outlook এবং Teams এর মতো Microsoft অ্যাপের জন্য ব্যবহার হয়েছিল, তবে ব্যাপক এআই এজেন্ট ফাংশন হিসেবেই নয়। যখন এই বিক্রয় কোটা পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, Microsoft কোনও মন্তব্য করতে না চায়। এর চরম দুর্বল বিক্রয় ফলাফল একটি গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, যেখানে এআই এজেন্ট প্রযুক্তি এখনও যথেষ্ট পরিণত বা নির্ভরযোগ্য নয়, Microsoft যে স্বয়ংক্রিয় ও উচ্চমাত্রার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পরিকল্পনা করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য। যদিও এই এজেন্টগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা ও বাস্তব গ্রাহক গ্রহণের মধ্যে বৈরিতা এখনও বিস্তৃত, যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন উন্নত টুলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে প্রয়োগ করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করছে। এছাড়াও, Microsoft এর এআই টুলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এই ক্ষেত্রের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতেও স্পষ্ট করে, যেখানে গ্রাহকের পছন্দ এবং ব্যবহারের সহজলভ্যতা মূল চাবিকাঠি। Microsoft Copilot এবং OpenAI এর ChatGPT এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য লোভী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশ্বস্ততা অর্জনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। Microsoft এর প্রচেষ্টা এআই এজেন্টগুলোকে মূল ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্যোগ বহুমাত্রিক এন্টারপ্রাইজ প্রযুক্তি প্রবণতার সাথে মিলে যায়, যেখানে উদ্ভাবনকে ব্যবহারযোগ্যতা, মূল্য এবং বাস্তব মানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হয়। এই সময়ের পুনঃঅভিবাসন ভবিষ্যতে Microsoft এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তাদের এআই এজেন্ট পণ্যগুলোর উন্নতি ও আরও ভালভাবে গ্রাহকের চাহিদা ও প্রত্যাশার সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য।

এআই-উৎপাদিত বিষয়বস্তু ক্রমশই পণ্য বর্ণনা এবং মার্কেটিং প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে, যা পাংগ্রাম একাডেমিকভাবে অন্বেষণ করেছে। কিছু গ্রাহক সাধারণ এআই লেখনী ধরণ চেনার সক্ষমতা রাখলেও, এই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও তাদের পণ্যের প্রতি বিশ্বাসের জন্য একটি বাড়তে থাকা হুমকি তৈরি করছে। মিয়া ওয়াং, ইউনিভার্সিটি অব কোলোরাডো ব্লডার বিভাগের অ্যাডভারটাইজিং, পাবলিক রিলেশন্স ও ডিজাইন-এর সহকারী অধ্যাপক, এআই-এর প্রভাব নিয়ে গ্রাহক সিদ্ধান্তের ওপর গবেষণা করেন। তার গবেষণায় দেখা যায় যে, বিশেষ করে বিলাসবহুল খাতে, এআই-উৎপাদিত ঘোষণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক গ্রাহক ধারণা তৈরি করে, যা ব্র্যান্ডের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে। জুলাই ২০২৫ সালে, ভোগ ম্যাগাজিনে গ্যাস মডেল একটি এআই-উৎপাদিত মডেল উপস্থিত হওয়ার কারণে বিতর্ক তৈরি হয়। ওয়াং জোর দিয়ে বলেন যে, বিষয়টি এআই কাজ করছে কি না তার চেয়ে আরও বেশি হল পণ্য বিভাগের প্রত্যাশা। “বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলো বাস্তব মানব প্রতিভায় বিনিয়োগ করতে পারে উন্নতি দেখাতে, কিন্তু তারা বরং এআই ব্যবহার করে,” তিনি বলেন। এই সন্দেহভাজনতা এমনকি সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির উপর জোর দেওয়া ব্র্যান্ডগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে, লিভাইস এক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে যাতে এআই-উৎপাদিত মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলকতা প্রচার করা হয়, তবে ওয়াং বলেন যে, আসল মানুষ না ব্যবহার করে এআই মডেল ব্যবহার ব্র্যান্ডের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা কমিয়ে দেয়। দৃশ্যমানতার বাইরে, ওয়াং লক্ষ্য করেছেন যে গ্রাহকরা এআই-উৎপাদিত পণ্য বর্ণনায়ও হতাশ। “একটি পণ্য উপস্থাপনের সময়, মানুষ সত্যবাদী তথ্য এবং বাস্তব ছবি চান, না যেন এআই-উৎপাদিত বিষয়বস্তু,” তিনি ব্যাখ্যা করেন। নভেম্বরে, কোকা-কোলা তার দ্বিতীয় এআই-সৃষ্ট বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ছুটির মৌসুমে। ওয়াং মন্তব্য করেন যে, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড হিসেবে, কোকা-কোলা ঐতিহ্যবাহী বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারে কিন্তু কেননি এআই ব্যবহার করে। তিনি বললেন যে, বিজ্ঞাপনের ক্ষমতা ব্যক্তিগতকরণ ও গ্রাহক মনস্তত্ত্ব বোঝার মধ্যে নিহিত, যা এআই এর মধ্যে নেই কারণ এতে অনুভূতি বা মানবিক সংযোগের স্বাভাবিক আগ্রহ নেই। ফলস্বরূপ, এআই সাধারণভাবে অতি মূল্যবান বা সম্পর্কযুক্ত বিজ্ঞাপনের ধারণা দিতে সক্ষম নয়। অন্যদিকে, কিছু পণ্য স্পষ্টভাবে তাদের এআই বৈশিষ্ট্য মার্কেট করেন। গবেষকরা দেখছেন যে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” হাইলাইট করতে কি মূল্য বাড়ে বা গ্রাহকদের দূরে ঠেলে দেয়। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির কারসন কলেজ অব বিজনেস-এর প্রফেসর ডোগান গুরসয় ২০২৪ সালে এক গবেষণাপত্র লিখেছেন, যেখানে তারা বিশ্লেষণ করেছেন এআই-চালিত পণ্য বলে লেবেল করলে বিশ্বাস এবং ক্রয় ধারণে কী প্রভাব পড়ে। “কোম্পানিগুলো মনে করে যে এআই এর উল্লেখ গ্রাহকদের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে,” তিনি বলেন। এতে, অংশগ্রহণকারীরা এক গাড়ি ও এক টিভির বর্ণনা মূল্যায়ন করেন যেখানে এক গ্রুপ দেখেছে “এআই-চালিত” এবং অন্য গ্রুপ দেখেছে “নতুন প্রযুক্তি।” ফলাফল দেখায় যে, এআই উল্লেখ করলে ক্রয় প্রক্রিয়া কমে যায়, “উচ্চ প্রযুক্তি” বলায় তুলনায়। গুরসয়-এর দলের গবেষণায় জানা যায় যে, সাধারণত গ্রাহকের মধ্যে এআই-এর প্রতি আবেগগত বিশ্বাস কম থাকে, বিশেষ করে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য যেমন চিকিৎসা নির্ণয় সরঞ্জামগুলিতে তৈরি এআই নিয়ে উদ্বিগ্নতা বাড়ে। এআই যুক্ত হলে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সংক্রান্ত শঙ্কাও ওঠে, বিশেষ করে ২০২৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অনেক গাঁটের এজি-উৎপাদনকারী এআই সহকারী ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষণ ও শেয়ার করে চলেছে গ্রাহকদের পূর্ণ সচেতনতা না থাকেই। এই শঙ্কা মোকাবেলায়, গুরসয় পরামর্শ দেন যে, কোম্পানিগুলোর উচিত এআই-এর সুবিধা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা, মেকিংয়ে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” শব্দটি সহজে ঢোকানোর চেয়ে। “তাদের উচিত বার্তাটি ইতিবাচকভাবে framing করা, দেখানো কিভাবে এটি গ্রাহকের জন্য উপকারী,” তিনি বলেন। তদ্ব্যতীত, কোম্পানিগুলোর উচিত গ্রাহকদের ডেটা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিষয়েও আশ্বস্ত করা। “লোকেরা এই সরঞ্জামগুলি ঘরে ব্যবহারে বিশ্বাস করে, তাদের গোপনীয়তা রক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে,” তিনি উপসংহার জানান।

২০২৬ সালের কাছে আসছে, তখন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর ঘটবে কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এ আই) প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এ আই সামগ্রীর সৃষ্টি, ব্যক্তিগতকরণ এবং অপ্টিমাইজেশনের জন্য একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম হয়ে উঠবে, যা মৌলিকভাবে পরিবর্তন করবে কিভাবে ব্যবসাগুলি তাদের অনলাইন দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এ আইয়ের ভূমিকার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে, কেবল কল্পনা থেকে বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত অ্যালগোরিদমের ব্যবহার করে, এ আই সুনির্দিষ্টভাবে বিশদ ব্যবহারকারীর আচরণ ও পছন্দ বিশ্লেষণ করতে পারে। এর ফলে, নির্দিষ্ট জনসংখ্যা এবং ব্যক্তিগত আগ্রহের জন্য উচ্চতর লক্ষ্যবস্তুতামূলক সামগ্রী তৈরি সম্ভব হয়, যা মার্কেটিং কমিউনিকেশনের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা বাড়ায়। এসইও তে এ আইয়ের অন্যতম মূল সুবিধা হল এটি দ্রুত বা কার্যকরভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সামগ্রী অপ্টিমাইজ করতে সক্ষম। এ আই চালিত সরঞ্জামগুলো প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড সনাক্ত করতে, তাদের প্রতিযোগিতামূলকতা মূল্যায়ণ করতে এবং সর্বশেষ সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং মানদণ্ডের সাথে সমন্বয়যুক্ত সামগ্রী কাঠামো প্রস্তাব করতে সক্ষম। এইভাবে, সামগ্রী গুণগত মানের পাশাপাশি ডেক্সটপ বা মোবাইল সার্চে দৃশ্যমানতা এবং র্যাংকিং বৃদ্ধির জন্য কৌশলগতভাবে ডিজাইন করা হয়। তদ্ব্যতীত, এ আইয়ের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ভবিষ্যত প্রবণতা ও ব্যবহারকারীর আচরণ পূর্বাভাস দিতে পারে, যা ব্যবসাগুলোকে তাদের সামগ্রী কৌশল proactivelyadjust করতে সক্ষম করে। এই অভিযোজনের গুরুত্ব অবশ্যই বিস্তার লাভ করে যখন যে কোনও সময়ে পরিবর্তন এবং তীব্র প্রতিযোগিতা চালু থাকে। সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগোরিদমের আপডেট ও ক্রেতার পছন্দের পরিবর্তন আগাম দেখিয়ে, কোম্পানিগুলি তাদের অনলাইন উপস্থিতি রক্ষা ও উন্নত করতে পারে। এ আই ভিত্তিক এসইও পন্থার ব্যবহার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেয়। এ আই গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত উচ্চতর সার্চ র্যাংক পেত, যা অর্গানিক ওয়েবসাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। বেশি দৃশ্যমানতা স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহারকারীর অঙ্গীকার, ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি ও পরিণামে উন্নত রূপান্তর হার বাড়ায়। ছোটো ছোটো সময়ে বাজারের আরও প্রতিযোগিতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সুবিধা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজেশনের বাইরে, এ আই ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাও উন্নত করে। পৃথক ব্যবহারকারীর ডেটা বিশ্লেষণ করে, এ আই কাস্টমাইজড কন্টেন্ট সাজেস্ট করতে ও ওয়েবসাইটের ইন্টারেকশন ব্যক্তিগতভাবে তৈরী করতে পারে, যা প্রত্যেক দর্শকের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী হয়ে থাকে। এই ব্যক্তিগতকরণ ব্র্যান্ড ও গ্রাহকের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করে, বিশ্বাস ও পুনরায় দর্শনের উৎসাহ দেয়। এ ছাড়া, এ আই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যসম্পাদন বাড়ানোর জন্য, রুটিন কাজ যেমন কীওয়ার্ড গবেষণা, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও পারফরম্যান্স মূল্যায়ন সম্পন্ন করে। এই স্বয়ংক্রিয়তা মার্কেটার ও সামগ্রী নির্মাতাদের সময় বাঁচায়, যাতে তারা কৌশলগত পরিকল্পনা ও সৃজনশীল প্রচেষ্টায় মনোযোগ দিতে পারে, ফলে আরও উদ্ভাবনী ও ফলপ্রসূ ক্যাম্পেইন তৈরি হয়। ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই দেখা যাবে, এ আই মানুষের সৃজনশীলতাকে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন করবে না, বরং তা উন্নত করবে এমন ডেটা-ভিত্তিক অন্তর্দৃষ্টি ও সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে। মানব দক্ষতা ও এ আই প্রযুক্তির এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের এসইও ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর রূপকল্পকে গড়ে তুলবে। অ্যাই গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ঝুঁকি থাকছে, তারা হয়তো প্রতিযোগীদের কাছে হারাতে পারে যারা এই প্রযুক্তির সুবিধা লাভ করছে। যেহেতু এ আই এর সরঞ্জামগুলো যত বেশি সহজলভ্য ও উন্নত হবে, সেহেতু তারা সফল এসইও কৌশলগুলির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হয়। সারসংক্ষেপে, এ আইয়ের উদ্ভব এসইও ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তনের সংকেত দেয়। এ আই এর শক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত, অপ্টিমাইজ ও আকর্ষণীয় সামগ্রী তৈরি করে, ব্যবসায়ীরা নিজেদের ডিজিটাল বিশ্বে দৃঢ় আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ২০২৬ সাল সামনে আসায়, এ আই সক্ষম এসইও গ্রহণ করা এখন আর অপশন নয়—একজন সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে, যারা অনলাইন জগতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চায়।

গুগল আবারও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকদের নজরে এসেছে নতুন একটি অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের উদ্বোধনের মাধ্যমে। মঙ্গলবার, ইউরোপিয়ান কমিশন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সংস্থা এবং প্রতিযোগিতা আইন কার্যকর করে, গুগলের অনলাইন কন্টেন্টের ব্যবহার নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত ঘোষণা করেছে যাতে তার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল এবং সার্ভিসের প্রশিক্ষণে এটি ব্যবহার করছে। এই উন্নয়নটি দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল দুনিয়ায় কার্যকর প্রতিযোগিতা এবং ভোক্তা সুরক্ষা রক্ষায় প্রতিযোগী ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে চালু থাকা টানাপোড়েনকে আরও স্পষ্ট করছে। তদন্তের মূল বিষয়ে রয়েছে গুগল কি বিস্তৃত অনলাইন কন্টেন্টের অ্যাক্সেসের অপব্যবহার করে থাকলেও, যা প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে বা এআই প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ব্যবহার ক্ষেত্রে এক অসাধু সুবিধা এনে দিতে পারে। নিয়ন্ত্রকদের বিশেষ করে উদ্বেগ about গুগলের তৃতীয়-পক্ষ কন্টেন্টের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে, যেখানে তারা যথার্থ প্রতিদান বা সম্মতি না নিয়ে এআই-এর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করছে, যা কন্টেন্ট নির্মাতাদের এবং প্রতিযোগীদের উভয়কেই ক্ষতি করতে পারে। যদিও বিস্তারিত এখনও গোপন রাখা হয়েছে, কমিশনের সঙ্গতসূত্র জানিয়েছেন যে, তদন্তটি মূল্যায়ন করবে গুগল কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ম লংঘন করছে যা প্রাধান্যচালক বাজারের খেলোয়াড়দের অবাধ ও অসাধু আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। কমিশনের ইতিহাস রয়েছে গুগলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের, আগের সময়ে তাদের সার্চ ইঞ্জিন এবং অ্যান্ড্রয়েড নীতির জন্য বড় জরিমানা আরোপ করেছে। এই তদন্তটি এসেছে বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তি শিল্পের বিস্তৃত প্রভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য ওঠা উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে। বিশ্বজুড়ে সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের জন্য এআইসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ যেমন ডেটা অ্যাক্সেস, গোপনীয়তা, এবং বাজারের সম্ভাব্য অপব্যবহার মোকাবেলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে অগ্রগামী হিসেবে, তারা ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্ট এবং জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (GDPR) এর মতো কাঠামো কার্যকর করছে। এই তদন্তের সময়সূচি কূটনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় কমিশনের এই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকার সাথে টানাপোড়েনের আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগে সরকারে থাকাকালে, যারা ইউরোপীয় নিয়মগুলোকে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর সুরক্ষার জন্য দেখতেন এবং মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির ক্ষতি করত। তবে, ইউরোপীয় কর্মকর্তারা দাবি করেন যে গুগলকে অযৌক্তিকভাবে টার্গেট করার অভিযোগগুলি অস্বীকার করেন, এবং বলেন যে এই তদন্তের লক্ষ্য যেন প্রতিযোগিতা নিয়ম কঠোর করার পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতিতে উদ্ভাবন উৎসাহিত করা। শিল্প বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই তদন্ত গুগলের এআই কৌশল ও বৃহৎ প্রযুক্তি খাতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি গুগলকে অ্যান্টিট্রাস্ট চুরির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তবে তার বড় পরিমাণ জরিমানা হতে পারে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিবর্তন করতে হতে পারে। এ ছাড়া, এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ নেহাতই নয়, এআই উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণে নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। এগুলো থেকে বোঝা যায়, এআই অগ্রগতি ও মেধাবত্তার অধিকারে ক্রমবর্ধমান সংযোগের বিষয়টি খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ এআই মডেল তৈরি করতে বিশাল ডেটাসেটের প্রয়োজন হয়—প্রায়ই পাবলিকলি অ্যাক্সেসযোগ্য অনলাইন কন্টেন্ট থেকে নেওয়া—তাই ডেটার মালিকানা, উপযুক্ত সমানাদান, ও সম্মতির বিষয়গুলো আরো জোরালো হয়ে উঠছে। নিয়ন্ত্রকেরা চাচ্ছেন যাতে এআই এর সুবিধাগুলি যথাযথভাবে ভাগ হয়, এড়ানো হয় content creators বা ক্ষুদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতি। গুগলে উত্তেজনা ইতিমধ্যে তারা ইউরোপীয় আইন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং তার এআই সার্ভিসের সুবিধাগুলি ব্যবহারকারীরা ও ব্যবসায়ীদের জন্য তুলে ধরার অঙ্গীকার করে দিয়েছে। সংস্থাটি অনুরোধ করেছে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে পুরো সহযোগিতা করার। এই চলমান তদন্তটি শীর্ষ প্রযুক্তি যেমন এআই-এর নিয়ন্ত্রণের জটিলতা তুলে ধরছে। যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো শিল্পে প্রভাব বিস্তার করছে, নিয়ন্ত্রকদের জন্য ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত আইনি কাঠামো তৈরি এবং প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণকারীদের অধিকার রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গুগলের এই তদন্ত বিশ্বজুড়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যতের এআই ও ডিজিটাল বাজারের নিয়মে প্রভাব ফেলতে পারে। সংক্ষেপে, ইউরোপের নতুন অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্ত গুগলের অনলাইন কন্টেন্টের ব্যবহারে তার এআই উন্নয়নের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করছে, যা বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ বাড়াচ্ছে। এটি বাজারের আধিপত্য, নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতা এবং ডেটার অধিকারের ব্যাপারে বেশি উদ্বেগের কারণ, দ্রুত এআই স্বয়ংক্রিয় বাড়ন্তির সাথে সম্পর্কিত। এই মামলা নীতিনির্ধারকদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ যে, কিভাবে যুগোপযোগী আইনি কাঠামো তৈরি করে সকলের জন্য একটি ন্যায্য ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল অর্থনীতি নিশ্চিত করা যায়।