সম্প্রতি FBI-এর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে AI-চালিত সাইবার ক্রাইমের দিক থেকে এক ধাক্কা প্রবাহিত হয়েছে, যার ফলে রেকর্ড অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬. ৬ বিলিয়ন ডলার। এই अभূতপূর্ব সংখ্যা দেখিয়ে দেয় AI প্রযুক্তির অপব্যবহার দ্বারা ক্ষতিকর সাইবার কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে AI অগ্রগতি শিল্পক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে, সেখানে সাইবার অপরাধীরা এই সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে আরও নিখুঁত, বড় পরিসরের এবং গোপনীয়তা রক্ষিত আক্রমণ চালাচ্ছে, যা প্রথাগত সাইবারসিকিউরিটি প্রতিরক্ষণকে increasingly অকার্যকর করে তুলছে। রিপোর্টটি AI-চালিত সাইবার অপরাধের মূল বিভাগসমূহ চিহ্নিত করেছে: ১. AI-চালিত ফিশিং আক্রমণ, যেখানে AI অত্যন্ত ব্যক্তিগত ও বিশ্বাসযোগ্য ইমেল তৈরি করে, ভুক্তভোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে, সফলতা বাড়ায়। ২. স্বয়ংক্রিয় হ্যাকিং ও এক্সপ্লোইট আবিষ্কার, যেখানে AI দ্রুত দুর্বলতা স্ক্যান করে ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে আক্রমণ চালায়। ৩.

ডিপফেক ও সিনথেটিক মিডিয়া প্রতারণা, AI দ্বারা তৈরি প্রতিচ্ছবিসহ ফটো, ভিডিও বা অন্য মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতারণা, বিভ্রান্তি ও সামাজিক প্রকৌশল। ৪. AI-উন্নত ম্যালওয়্যার যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে পরিবর্তন করে ক্ষতিকর কার্যকলাপ অব্যাহত রাখতে, পরিচিতির বাইরে থেকে শনাক্ত এড়িয়ে যায়। এই ১৬. ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত চুরি, মুক্তিপণ প্রদান, কার্যক্রম ব্যাহত এবং পুনরুদ্ধারের খরচ। স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি, উৎপাদন, এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষেত্রগুলো বেশি লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে, কারণ সেখানে মূল্যবান তথ্য ও অপারেশনাল গুরুত্ব বেশি। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অন্যথায় ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো AI-সক্ষম র্যানসামওয়্যার আক্রমণের শিকার হচ্ছে, যেখানে অর্থপ্রদান ও চিকিৎসা কার্যক্রম থেমে থাকতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো AI-সহায়ত ফ্রডের মুখোমুখি হচ্ছে, যা প্রথাগত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অপ্রতুল করে দেয়। সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই আক্রমণের দ্রুততা ও জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছে, যা প্রকাশ করে যে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের একক সমাধান প্রয়োজন। এই বিপদ মোকাবেলায় FBI সুপারিশ করেছে ব্যাপক সাইবারসিকিউরিটি কৌশল গ্রহণের জন্য, যেখানে AI কে রক্ষা ও আক্রমণ উভয় দিকেই ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে AI-চালিত রিয়েল-টাইম হুমকি সনাক্তকরণ, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট, উন্নত কর্মী প্রশিক্ষণ বিশেষ করে ফিশিং মোকাবেলায়, AI-চালিত হুমকি বিবেচনায় নিয়ে আপডেটেড ইন্সিডেন্ট রেসপন্স পরিকল্পনা, এবং তথ্য বিনিময় ও সমন্বিত পদক্ষেপে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ গড়ে তোলা। এছাড়া রিপোর্টে অনুরোধ জানানো হয়েছে এসব ইস্যুর জন্য আইন ও বিধিনিষেধের কাঠামো নেটিভ করতে, যাতে AI এর নৈতিক ও আইনি দিকগুলো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এবং দুষ্টু উদ্দেশ্যে AI এর ব্যবহার কমানো যায়। সাইবার অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বভাব বিবেচনায়, FBI জোর দিয়ে বলেছে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা—তথ্য শেয়ারিং, যৌথ অভিযান ও সমন্বিত নিয়ম-কানুন—ই এই ধরনের হুমকি মোকাবেলায় অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে AI যত উন্নত হবে, ততই নতুন রকমের আক্রমণের মাধ্যম সন্ধান করবে সাইবার অপরাধীরা, যার জন্য গবেষণা, উন্নয়ন এবং সাইবার সিকিউরিটি কর্মশক্তি প্রশিক্ষণে অবিরত বিনিয়োগ অপরিহার্য থাকবে যেন আমরা প্রতিরক্ষা শক্তি ধরে রাখতে পারি। সারাংশে, FBI-র এই রিপোর্ট সরকার, ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য কঠোর সতর্কবার্তা। এই ঐতিহাসিক ক্ষতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাইবার সিকিউরিটি কৌশলগুলো মূলগতভাবে পুনর্বিবেচনা করতে হবে AI ভিত্তিক প্রতিরক্ষাসহ, সহযোগিতা উৎসাহিত করতে ও সচেতনতা বাড়াতে। অন্যথায়, দ্রুত বাড়তে থাকা AI-চালিত সাইবার অপরাধের কারণে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও অস্থিরতা আরও বাড়বে।