সম্প্রতি আমি নয়া দুর টিভিতে রাজা রুমি’র সাথে পাকিস্তানের ক্রিপ্টো স্পেসে উদীয়মান ভুমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। মূলত, ব্লকচেইন একটি বিপ্লবী ডিজিটাল লেজার সিস্টেম—নিরাপদ, বিকেন্দ্রীকরণ ও অনেক কম্পিউটারে ছড়িয়ে থাকা, কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভরশীল নয়। একে ভাবুন একটি শেয়ারড নোটবুকের মতো যেখানে প্রতিটি লেনদেন অথবা চুক্তি স্থায়ীভাবে রেকর্ড হয়, অনুমোদিত পক্ষের জন্য দেখা যায় এবং অপরিবর্তিত থাকে। বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধুমাত্র ব্লকচেইন প্রযুক্তির একটি দিক; এর ব্যবহার অনেক বেশি বিস্তাৃত, যেমন সরবরাহ চেনের ট্র্যাকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং রিয়েল এস্টেটের রেকর্ড। গুরুত্বপূর্ণ হলো, যা শিরোনামে আলোচিত হয় তা হলো ক্রিপ্টোকারেন্সির পাশাপাশি, ব্লকচেইনের বৃহত্তর সম্ভাবনা—যা সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ উভয়ই উপস্থাপন করে—এর আলাদা করে বোঝা। ব্লকচেইন ২০০৮ সালে উদ্ভব ঘটে, এটি কৌতূহলোদ্দীপক সাতোশি নাকামोटो—সম্ভবত একজন ব্যক্তি বা দল—দ্বারা পরিকল্পিত, ব্যাংক ও মধ্যস্থতাকারীদের উৎখাতের উদ্দেশ্যে আস্থা মুক্ত ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে। তবে, ২০২৫ এর মধ্যেই, এই ভিশন সম্পূর্ণ হয়নি: তাত্ত্বিকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল হলেও, ধীর লেনদেনের গতি, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অস্পষ্ট প্রায়োগিক সুবিধার কারণে এটি বাধাগ্রস্ত। প্রযুক্তিটি এখনও উন্নয়নশীল এবং এটি সন্দেহভাজন নিরীক্ষার দাবি রাখে। **উৎপত্তি ও হৈচৈ** ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটে, সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েন প্রবর্তন করেন, যা প্রথম ব্লকচেইন-সমর্থিত ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা মধ্যস্থতার উপর বিশ্বাস ছাড়াই ইলেকট্রনিক লেনদেনের সুবিধা দেয়। জানুয়ারি ২০০৯ এ বিটকয়েনের প্রথম ব্লক চালু হওয়ার পর, নাকামোতো অজ্ঞাত থাকেন, এরপর ২০১০ সালে গোপনে চলে যান, চার লাখ বিটকয়েন রেখে যান—যা ব্যাংকবিহীনদের জন্য অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার কেনার জন্য ছিল। ২০১৫ সালে ভিটালি বুটেরিন ইথেরিয়াম উদ্ভাবন করেন, যা ব্লকচেইনের ব্যবহার বিস্তৃত করে “স্মার্ট কন্ট্রাক্ট” এর মাধ্যমে—আত্মনির্ভর চুক্তি বা স্বয়ংক্রিয় ঋণ বা সম্পত্তি চুক্তির জন্য। ২০১৭-এর ক্রিপ্টো ফাটাফাটি লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগ ও অতিরিক্ত কল্পনাকে উস্কে দেয়। ক্রিপ্টো ছাড়াও, ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠান খাদ্য নিরাপত্তা ট্র্যাক করতে ব্লকচেইন ব্যবহার করছে, এবং আইবিএমের ফুড ট্রাস্ট উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত হচ্ছে, supply chain ট্রান্সপারেন্সি বাড়ানোর জন্য। ঐতিহ্যবাহী ব্যাংকরা সতর্কতার সঙ্গে যোগ দেয়; জামাই ডাইমন প্রথমে ক্রিপ্টো সমালোচনা করেন, কিন্তু ২০২০ সালে ওনেক্স চালু করে ব্লকচেইনকে আর্থিক উন্নতির জন্য ব্যবহার করেন। **বাজার ও অর্থ** বিশ্বব্যাপী ব্লকচেইন বাজার—সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, সেবা—২০২৩ সালে ১২. ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪-এ প্রাক্কালিত হয় ২০. ১ বিলিয়ন ডলার, ২০২৯ এর মধ্যে তা পৌঁছাবে ২৪৮. ৯ বিলিয়ন ডলারে। দ্রুত বৃদ্ধির পরও, এটি প্রায় ৭. ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের দৈনিক ট্রেডিংয়ের তুলনায় খুবই ছোট। ডিফাই বা বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যাংকবিহীন ঋণ ও ট্রেডিং সম্ভব করে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়তে পারে। তবে সব বিনিয়োগ সফল হয় না; কয়েকটি উদ্যোগ ফলপ্রসূ ছাড়াই শেষ হয়। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ, যার মধ্যে চীন ও ইউরোপিয় দেশগুলোও অন্তর্ভুক্ত, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ডিজিটাল কারেন্সি (CBDCs) অনুসন্ধান করছে, যা নিরাপদ ও দক্ষ পেমেন্টের জন্য ব্লকচেইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। **প্রতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা** প্রধান ব্যাংক ও সরকার ক্রিপ্টোচড়া ওঠানামা এড়াতে, বরং ব্লকচেইন ব্যবহার করে পুরোনো ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করছে। জেপি মরগ্যান চেস, এক সময় সন্দেহবাদী ছিল, ওনেক্সের মাধ্যমে ব্লকচেইন গ্রহণ করে; যেটি জেপি মুদ্রা (JPM Coin) ও ৪০০ এর বেশি ব্যাংককে সংযুক্ত করে দ্রুত অর্থপ্রদান সম্ভব করে। গোল্ডম্যান স্যাক্স, সংস্থাপনপ্রিয় গ্রাহকদের জন্য ক্রিপ্টো ট্রেডিং offer করে, ও বন্ড লেনদেন দ্রুত করতে ব্লকচেইন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে, ফলে খরচ ও সময়ে সাশ্রয়। বিইউয়াই মন এবং এইচএসবিসি ডিজিটাল সম্পদ দখল ও স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে বিনিয়োগ করছে। সিটিব্যাংক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ প্রসেসিং করে। সরকারগুলোও ব্লকচেইন ভিত্তিক CBDCs পরীক্ষা করছে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরেট রিজার্ভ ২০২৩ এ চালু করে FedNow, যা ট্রান্সফারের গতি বাড়ায়, ব্লকচেইনের অনুপ্রেরণায়। এইসব প্রতিষ্ঠান অরাজনৈতিক মানসে নন, বরং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মধ্যে ব্লকচেইনকে মানিয়ে নিচ্ছে। **সন্তোষ্ষয়ার: ডিবিএস ব্যাংকের প্রায়োগিক ব্লকচেইন উদাহরণ** সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক উদাহরণ হিসেবে দেখায় কন্ট্রোলড ব্লকচেইন ব্যবহারে। বিটকয়েনের পাবলিক লেজার নয়, ডিবিএস কাজ করে প্রাইভেট ব্লকচেইনের মাধ্যমে যেখানে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত অংশীদাররা প্রবেশাধিকার পায়। ২০২৪ সালের অক্টোবর, ডিবিএস “ডিবিএস টোকেন সার্ভিস” চালু করে, যা তাদের পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করে দ্রুত, ২৪/৭ স্যালভ করানোর সুবিধা দেয়। অ্যান্ট ইন্টারন্যাশনালের সাথে একটি পাইলট চালানো হয়, যেখানে “ট্রেজারি টোকেন” ব্যবহার করে আড়াআড়ি বিনিময় ছাড়াই অর্থ স্থানান্তর হয়। ডিবিএস অংশীদারদের জন্য স্মার্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে অনুদান বিতরণ করে, স্বচ্ছ ও স্বয়ংক্রিয় অর্থায়নের জন্য। ২০২০ থেকে, ডিবিএস ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ ডিজিটাল বন্ড, শেয়ার, ও ক্রিপ্টো দখল করে নিরাপদে ও নিয়ম অনুযায়ী, স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য রেখে। ডিবিএসের লিম সুন্দর চং বলেন, এই পদ্ধতিটি গ্রাহকদের কার্যকরভাবে সেবা দেয়, খরচ ও বিলম্ব কমায়। **সংবিধানের জন্য সম্ভাব্য ফেডের রিজার্ভের ট্রেজারি বন্ড ব্যবহার** অথচ, কি মার্কিন ফেডের রিজার্ভ তার ২৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড মার্কেটে ব্লকচেইন ব্যবহার করতে পারে?

বর্তমানে, লেনদেন ও রেকর্ড রাখা ধীর ও মধ্যস্থতাকারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ব্লকচেইন একটি চিরন্তন, অপ্রতিরোধ্য লেজার দিতে পারে যেটি সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য দেখা যায়, স্পষ্টতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। ফেড সম্ভবত একটি প্রাইভেট ব্লকচেইন ব্যবহার করতে পারে, নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করতে, যা ক্রিপ্টোকারেন্সির খোলা মডেলের বিপরীতে। প্রজেক্ট গার্ডিয়ান, যেখানে ফেড ও ডিবিএসের মতো ব্যাংক অংশীদার, এই সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে, যা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও খরচ কমাতে সহায়ক। তবে, চ্যালেঞ্জগুলো গুরুতর—অবিশংক নীতি, স্কেলেবিলিটি ও নিয়ন্ত্রক স্পষ্টতার প্রয়োজন। ২০২৪ সালে, ফেড গভর্নর মিশেল বোউম্যান বলেন, নতুনত্বের সাথে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত, এই প্রযুক্তি বন্ড মার্কেটকে পুরোপুরি অতিক্রম করতে প্রস্তুত নয়, তবে ডিবিএস এর মতো সাবধানে ধাপে এগিয়ে যাওয়া আশার সূচনা। **চ্যালেঞ্জ ও ত্রুটি** ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনও অস্থিতিশীল, অপ্রতিষ্ঠিত, ও মূলধন হিসেবে mainstream এর বাইরে, যেহেতু দৈনিক ট্রেডিং (২০২৫ সালে প্রায় $১০০ বিলিয়ন) তুলনায় ঐতিহ্যবাহী অর্থনীতি (~$৭. ৫ ট্রিলিয়ন) অনেক বড়। ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড ২০২১ সালে বলেছিলেন, ক্রিপ্টো হলো উন্মাদনা বেশি, কিন্তু সিস্টেমিক আকারে হুমকি নয়। ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে ট্রানজেকশন ধীর—বিটকয়েন প্রতি সেকেন্ডে ৭টি, ইথেরিয়াম প্রায় ৩০টি, আর ভিসা প্রায় ১, ৭০০টি। শক্তির ব্যবহার ব্যাপক—মাত্র বিটকয়েন খনন বছরে প্রায় ১৫০ টেরাওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করে, যা ছোট একটি দেশে সমান, এই কারণে অনেক বিকল্প অচেনা হয়ে পড়ে ও এলন মাস্ক ২০২১ সালে টেসলার বিটকয়েন পেমেন্ট বন্ধ করে দেন। অপরাধমূলক কার্যক্রমও উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালে, র্যানসমওয়্যার হ্যাকাররা ৪৪৯. ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোপ্রাপ্তি পেয়েছেন, যা ব্লকচেইনের কালোপত্র হিসেবে পরিচিত। উচ্চ-প্রোফাইল হ্যাকের মধ্যে আছে, মাউন্ট গক্স ($৪৫০ মিলিয়ন ২০১৪ সালে), পল নেটওয়ার্ক ($৬১০ মিলিয়ন ২০২১), ও ওয়ারমহোল ($৩২০ মিলিয়ন ২০২২)—এসব নিরাপত্তার দুর্বলতা প্রকাশ করে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লকচেইনের মূল সুদৃঢ়, কিন্তু এর ওপর নির্মিত অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত দুর্বল। **তদ্ব্যতা: সবসময় কি ব্লকচেইন দরকার?** প্রায়ই, প্রচলিত ডেটাবেস—তুলনামূলক দ্রুত ও সস্তা—বেশিরভাগ ট্র্যাকিং প্রয়োজনের জন্য ভাল। যেমন, স্বাস্থ্যসেবা রেকর্ড বা ভোটের জন্য। ডিবিএস এর প্রাইভেট ব্লকচেইন প্রথমে বিশ্বাসহীন ধারণা অস্বীকার করে; এজন্য বিল গেটস ২০১৮ তে মন্তব্য করেন, “অসংখ্য ব্লকচেইন প্রকল্প হলো ‘সমস্যার খোঁজে সমাধান’।” প্ল্যাটফর্মে ট্রানজেকশনের ফি অনেক সময় অত্যন্ত גבוה হয়। নিয়ন্ত্রক চাপ বাড়ছে: চীন ক্রিপ্টো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে, ও আমেরিকা কঠোরতা বাড়াচ্ছে। গালফন স্যাক্সের পূর্ব নির্বাহী গ্যারি কohn ২০২২ সালে বলেছেন, আইনী ঝুঁকি প্রবল। তবে কিছু ক্ষেত্রে—যেমন ডিবিএস এর পদ্ধতি ও ডিফাই এর কিছু অংশ—সুন্দর ব্যবহার দেখা যায়। **উপসংহার** ২০২৫ সালের মে-অন্তে, ব্লকচেইনের পথভ্রমণ ভিন্নদিকে। ২০২৩ সালে ১২. ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৯ সালে প্রায় ২৪৮. ৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পথ নির্ভর করছে প্রযুক্তিগত, নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রমের উপর। অপরাধ, আইনি অনিশ্চয়তা ও কুয়ানটাম কম্পিউটিং-এর মতো নতুন হুমকি, যেমন মিচিও কাকু উল্লেখ করেন। যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সির ভাগ এখনও সামান্য, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার যেমন ডিবিএস এর প্রাইভেট ব্লকচেইন ও সম্ভাব্য ফেডের রিজার্ভের পরিকল্পনা, সেগুলি কিছুটা আশার আলো দেখায়। সাৎোশির স্বপ্ন—একটি মধ্যস্থতাহীন নগদ ব্যবস্থা তৈরি করে যারা ব্যাংক করে না, তাদের ক্ষমতায়ন—আশাজনক, ভিত্তি ভাসিয়ে ভেতুক বিশ্লেষক ভিটালি বুটেরিনের স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ও প্রতিষ্ঠানিক গবেষণার মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, আড়ম্বরের সাথে, এই ধরনের ক্রিপ্টো সত্যিকারের অর্থ নয়; অতিরিক্ত চাহিদা ও অপরাধজনিত কার্যকলাপ এর প্রতিশ্রুতি থেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। হাই-প্রোফাইল হামলার মাধ্যমে এর দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যেমন রে ডালিও ও জোಸೆফ স্টিগ্লিটজ সতর্ক করে বলছেন, অতিরঞ্জিত প্রচার ও বুদ্বুদ। ব্লকচেইন প্রযুক্তি অর্থব্যবস্থা ও সরবরাহ চেইন আধুনিকীকরণের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনাময়, কিন্তু এর গতি, শক্তি ব্যবহার ও নিরাপত্তার সমস্যা সমাধান করতে হবে। জ্যানেট ইয়েলেন, বিল গেটস ও ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড মত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সতর্কতা উচ্চারণ করছেন। সর্বোপরি, ব্লকচেইন একটি শক্তিশালী কিন্তু অসম্পূর্ণ টুল—এটি সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত, অসতর্কভাবে নয়।